অর্থনীতি

 অর্থনীতি কী



অর্থনীতি (Economics) হলো একটি সামাজিক বিজ্ঞান যা মানুষের জীবনযাত্রা, সম্পদ উৎপাদন, বণ্টন এবং ভোগের সঙ্গে সম্পর্কিত। এটি মূলত দুটি ভাগে বিভক্ত: মাইক্রোঅর্থনীতি ও ম্যাক্রোঅর্থনীতি।

মাইক্রোঅর্থনীতি: এটি ব্যক্তিগত প্রতিষ্ঠান, ব্যক্তি বা পরিবারের সিদ্ধান্ত এবং বাজারের মধ্যে কার্যক্রম নিয়ে আলোচনা করে। উদাহরণ হিসেবে, কীভাবে একজন ব্যক্তি তার আয় ব্যবহার করে, কীভাবে একটি কোম্পানি উৎপাদন বাড়াতে বা কমাতে সিদ্ধান্ত নেয় ইত্যাদি বিষয়গুলো এখানে আলোচিত হয়।

ম্যাক্রোঅর্থনীতি: এটি সমগ্র অর্থনীতি বা বৃহৎ অর্থনৈতিক সিস্টেম নিয়ে আলোচনা করে। জাতীয় আয়, বেকারত্ব, মুদ্রাস্ফীতি, অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ইত্যাদি বিষয়গুলো ম্যাক্রোঅর্থনীতির অন্তর্গত।

র্থনীতি অধ্যয়নের মাধ্যমে বোঝা যায় কীভাবে একটি সমাজ তাদের সীমিত সম্পদের সর্বোত্তম ব্যবহার করতে পারে, যাতে সকলের জন্য সুবিধা বৃদ্ধি পায়।



অর্থনীতি শব্দের অর্থ কি


"অর্থনীতি" শব্দটি দুটি শব্দের সমন্বয়ে গঠিত: 

অর্থ: যার অর্থ সম্পদ, ধন বা টাকা।

নীতি: যার অর্থ নিয়ম বা প্রক্রিয়া।

অতএব, অর্থনীতি শব্দের আক্ষরিক অর্থ হলো সম্পদ বা অর্থ সম্পর্কিত নিয়ম বা ব্যবস্থাপনা। এটি মূলত সম্পদ কীভাবে উৎপাদন, বণ্টন ও ব্যবহৃত হবে তার উপর ভিত্তি করে গঠিত নিয়মাবলি ও প্রক্রিয়া নির্দেশ করে।

অর্থনীতির সংজ্ঞা ও বিষয়বস্তু

অর্থনীতির সংজ্ঞা:

অর্থনীতি হলো একটি সামাজিক বিজ্ঞান যা মানুষের চাহিদা ও সীমিত সম্পদের মধ্যে ভারসাম্য স্থাপন করার প্রক্রিয়া নিয়ে আলোচনা করে। এটি কিভাবে মানুষ, প্রতিষ্ঠান এবং সরকার সম্পদের উৎপাদন, বণ্টন ও ভোগ নিয়ন্ত্রণ ও পরিচালনা করে, সে সম্পর্কে অধ্যয়ন করে।


প্রখ্যাত অর্থনীতিবিদদের সংজ্ঞা:

অ্যাডাম স্মিথ (Adam Smith): তিনি অর্থনীতিকে "জাতীয় সম্পদের প্রকৃতি ও কারণের অনুসন্ধান" হিসেবে সংজ্ঞায়িত করেন।

লর্ড রবিনস (Lionel Robbins): তাঁর মতে, "অর্থনীতি হলো এমন একটি বিজ্ঞান যা অধ্যয়ন করে কিভাবে মানুষ অসীম চাহিদা পূরণের জন্য সীমিত সম্পদ ব্যবহার করে।"

পল স্যামুয়েলসন (Paul Samuelson): অর্থনীতি হলো "যে বিজ্ঞান চাহিদার সঙ্গে সম্পদের বৈষম্য এবং মানুষের প্রয়োজনের মধ্যে সমন্বয় করার চেষ্টা করে।"


অর্থনীতির বিষয়বস্তু:

অর্থনীতির বিষয়বস্তু প্রধানত দুটি ভাগে বিভক্ত:

১. মাইক্রোঅর্থনীতি (Microeconomics):

মাইক্রোঅর্থনীতি ক্ষুদ্র বা ব্যক্তি ভিত্তিক অর্থনৈতিক সিদ্ধান্ত ও বাজারের কার্যকলাপ নিয়ে আলোচনা করে। এর বিষয়গুলো হলো:

ব্যক্তি ও পরিবারের চাহিদা এবং ব্যয়ের ধরণ।

উৎপাদনকারী বা প্রতিষ্ঠানগুলোর উৎপাদন এবং ব্যয়ের প্রক্রিয়া।

বাজারের বিভিন্ন ধরনের কাঠামো (বাজারের প্রতিযোগিতা, মূল্য নির্ধারণ প্রক্রিয়া)।

সম্পদের বণ্টন ও উপযোগিতার বিশ্লেষণ।


২. ম্যাক্রোঅর্থনীতি (Macroeconomics):

ম্যাক্রোঅর্থনীতি বৃহৎ অর্থনৈতিক সিস্টেম নিয়ে আলোচনা করে এবং জাতীয় ও বৈশ্বিক অর্থনৈতিক সমস্যা বিশ্লেষণ করে। এর প্রধান বিষয়গুলো হলো:

জাতীয় আয় ও মোট উৎপাদন।

মুদ্রাস্ফীতি, মুদ্রাব্যবস্থা ও বিনিময় হার।

বেকারত্ব ও কর্মসংস্থান।

 সরকারের অর্থনৈতিক নীতি (যেমন: মুদ্রানীতি ও রাজস্ব নীতি)।

আন্তর্জাতিক বাণিজ্য ও বিনিয়োগ।

এই বিষয়গুলো অর্থনীতির মাধ্যমে বোঝা যায় কীভাবে একটি সমাজ সীমিত সম্পদের সর্বোত্তম ব্যবহার করতে পারে।

এডাম স্মিথের অর্থনীতির সংজ্ঞা

অ্যাডাম স্মিথকে আধুনিক অর্থনীতির জনক বলা হয়। তাঁর বিখ্যাত গ্রন্থ "The Wealth of Nations" (1776) অর্থনীতি বিষয়ে একটি যুগান্তকারী কাজ হিসেবে বিবেচিত হয়। এই বইয়ে অ্যাডাম স্মিথ অর্থনীতিকে "জাতীয় সম্পদের প্রকৃতি ও কারণের অনুসন্ধান" (An Inquiry into the Nature and Causes of the Wealth of Nations) হিসেবে সংজ্ঞায়িত করেন।

অ্যাডাম স্মিথের মূল ধারণা:

অর্থনীতির মূল লক্ষ্য হলো জাতীয় সম্পদ বৃদ্ধি করা এবং একটি দেশের সম্পদ কিভাবে তৈরি হয়, তা বোঝা।

তিনি মনে করেন, ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের ব্যক্তিগত স্বার্থ তাড়া করার মাধ্যমে সমাজের সার্বিক কল্যাণ অর্জিত হয়, যা অদৃশ্য হাত (Invisible Hand) হিসেবে পরিচিত।

ব্যক্তি যখন নিজের লাভের উদ্দেশ্যে কাজ করে, তখন অদৃশ্যভাবে পুরো অর্থনৈতিক ব্যবস্থার উপকার হয়।

স্মিথের দৃষ্টিভঙ্গি অনুযায়ী, একটি মুক্ত বাজারে যখন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানগুলো নিজেদের স্বার্থে কাজ করে, তখন সমগ্র সমাজের জন্য সুবিধা তৈরি হয় এবং এটি অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির পথকে সুগম করে।

অর্থনীতির সংজ্ঞা ও বিষয়বস্তু


অর্থনীতির সংজ্ঞা:

অর্থনীতি হলো একটি সামাজিক বিজ্ঞান যা সীমিত সম্পদ দিয়ে অসীম চাহিদা পূরণের উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এটি অধ্যয়ন করে কীভাবে মানুষ, প্রতিষ্ঠান, এবং সরকার সম্পদ উৎপাদন, বণ্টন ও ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ করে এবং কিভাবে এই সম্পদগুলো সামাজিক কল্যাণের জন্য সর্বোত্তমভাবে ব্যবহার করা যেতে পারে।

প্রখ্যাত অর্থনীতিবিদদের সংজ্ঞা:

অ্যাডাম স্মিথ: তিনি অর্থনীতিকে "জাতীয় সম্পদের প্রকৃতি ও কারণের অনুসন্ধান" হিসেবে সংজ্ঞায়িত করেন। তার মতে, অর্থনীতি জাতীয় সম্পদ বৃদ্ধির ওপর ভিত্তি করে।

লর্ড রবিনস: অর্থনীতির সংজ্ঞা দিতে গিয়ে তিনি বলেন, "অর্থনীতি হলো এমন একটি বিজ্ঞান যা মানুষ সীমিত সম্পদ দিয়ে অসীম চাহিদা পূরণ করার চেষ্টা করে।"

পল স্যামুয়েলসন: তার মতে, অর্থনীতি হলো একটি সামাজিক বিজ্ঞান যা অধ্যয়ন করে কিভাবে মানুষ সম্পদের বণ্টন এবং ব্যবহারের মাধ্যমে সর্বোত্তম কল্যাণ অর্জন করতে পারে।


অর্থনীতির বিষয়বস্তু:

অর্থনীতির প্রধান বিষয়বস্তু দুটি ভাগে বিভক্ত: মাইক্রোঅর্থনীতি এবং ম্যাক্রোঅর্থনীতি।


১. মাইক্রোঅর্থনীতি (Microeconomics):

মাইক্রোঅর্থনীতি ক্ষুদ্র অর্থনৈতিক একক যেমন ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান বা নির্দিষ্ট বাজারের কার্যক্রম নিয়ে আলোচনা করে। এটি ছোট স্তরের সিদ্ধান্ত নেওয়ার প্রক্রিয়া এবং বিভিন্ন অর্থনৈতিক বিষয় বিশ্লেষণ করে। মাইক্রোঅর্থনীতির প্রধান বিষয়বস্তুগুলো হলো:

চাহিদা ও যোগানের নীতি: চাহিদা ও যোগানের ভিত্তিতে বাজারে কিভাবে মূল্য নির্ধারণ হয়।

ভোক্তার আচরণ: কীভাবে একজন ভোক্তা তার সম্পদ ব্যবহার করে সর্বোচ্চ উপযোগিতা পেতে চায়।

উৎপাদন ও ব্যয়: প্রতিষ্ঠান কীভাবে তাদের উৎপাদন প্রক্রিয়া চালায় এবং খরচ কমাতে চেষ্টা করে।

বাজার কাঠামো: বিভিন্ন ধরনের বাজার (যেমন নিখুঁত প্রতিযোগিতা, মোনোপলি) কিভাবে কাজ করে।

  

 ২. ম্যাক্রোঅর্থনীতি (Macroeconomics):

ম্যাক্রোঅর্থনীতি সমগ্র অর্থনৈতিক ব্যবস্থার ওপর ভিত্তি করে আলোচনা করে, যেমন একটি দেশের সামগ্রিক উৎপাদন, আয়, কর্মসংস্থান, মুদ্রাস্ফীতি ইত্যাদি। এর প্রধান বিষয়বস্তুগুলো হলো:

মোট জাতীয় আয় ও উৎপাদন: জাতীয় আয়, মোট উৎপাদন ও অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি।

মুদ্রাস্ফীতি ও মুদ্রার মূল্য: মুদ্রাস্ফীতি, মুদ্রার ক্রয়ক্ষমতা ও মুদ্রানীতি।

বেকারত্ব: একটি দেশের শ্রমবাজারের অবস্থা এবং কর্মসংস্থান সৃষ্টি।

রাজস্ব ও মুদ্রানীতি: সরকারের অর্থনৈতিক নীতি, যেমন কর ব্যবস্থা, সরকারি ব্যয় ইত্যাদি।

আন্তর্জাতিক বাণিজ্য: বৈদেশিক বাণিজ্য ও বিনিয়োগের প্রভাব এবং নীতি।

এই বিষয়বস্তুগুলো অর্থনীতির বিভিন্ন দিক বিশ্লেষণ করতে সাহায্য করে, এবং এর মাধ্যমে বোঝা যায় কিভাবে ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও সরকার সীমিত সম্পদ ব্যবহার করে সর্বোত্তম কল্যাণ অর্জন করতে পারে।


অর্থনীতির গুরুত্বপূর্ণ ধারণাসমূহ

অর্থনীতির কিছু গুরুত্বপূর্ণ ধারণা বা নীতি রয়েছে, যেগুলো অর্থনৈতিক বিশ্লেষণ এবং সিদ্ধান্ত গ্রহণে প্রধান ভূমিকা পালন করে। এই ধারণাগুলো অর্থনৈতিক কার্যকলাপ এবং বাজারের কার্যক্রম বোঝার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। নিচে অর্থনীতির কিছু মৌলিক এবং গুরুত্বপূর্ণ ধারণা আলোচনা করা হলো:


 ১. চাহিদা ও যোগান (Demand and Supply):

চাহিদা: একটি নির্দিষ্ট পণ্য বা সেবার জন্য ভোক্তাদের কিনতে ইচ্ছুক ও সক্ষম পরিমাণ।

যোগান: একটি নির্দিষ্ট পণ্য বা সেবার উৎপাদনকারী বা বিক্রেতারা বিক্রি করতে ইচ্ছুক ও সক্ষম পরিমাণ।

  

চাহিদা ও যোগানের নীতি বাজারে পণ্যের দাম নির্ধারণের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। চাহিদা বাড়লে দাম বাড়ে, আর যোগান বাড়লে দাম কমে।


২. মূল্য স্থিতিশীলতা (Price Stability):

এটি সেই অবস্থাকে নির্দেশ করে যেখানে পণ্যের দাম দীর্ঘ সময়ের জন্য তুলনামূলকভাবে স্থির থাকে। মুদ্রাস্ফীতি বা মূল্যপতনের হার অত্যন্ত কম থাকলে অর্থনীতিতে মূল্য স্থিতিশীলতা বজায় থাকে।

  

মুদ্রাস্ফীতি ও মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের পদ্ধতি এই ধারণার অন্তর্ভুক্ত।


 ৩. অদৃশ্য হাত (Invisible Hand):

এই ধারণাটি অ্যাডাম স্মিথ প্রদান করেছেন। এটি একটি বাজার ব্যবস্থায় ব্যক্তিগত স্বার্থচালিত ক্রিয়া-কলাপের মাধ্যমে সমাজের সার্বিক কল্যাণ অর্জনের প্রক্রিয়াকে নির্দেশ করে। প্রত্যেক ব্যক্তি নিজের স্বার্থে কাজ করলেও, বাজারের "অদৃশ্য হাত" সমাজের জন্য সর্বোত্তম ফলাফল নিয়ে আসে।


৪. মোট আয় এবং উৎপাদন (Gross Domestic Product - GDP):

GDP হলো একটি দেশের নির্দিষ্ট সময়ে উৎপাদিত সকল পণ্য ও সেবার মোট মূল্য। এটি দেশের অর্থনৈতিক কর্মক্ষমতার একটি প্রধান সূচক।

  এটি পরিমাপ করা হয় অভ্যন্তরীণ উৎপাদন ও সেবার মাধ্যমে।


৫. অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি (Economic Growth):

এটি অর্থনীতির উৎপাদন ক্ষমতা বা আয়ের বৃদ্ধি নির্দেশ করে। যখন একটি দেশের উৎপাদন ও আয় নিয়মিত বৃদ্ধি পায়, তখন বলা হয় দেশটি অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। 

৬. বিকল্প সুযোগ (Opportunity Cost):

এটি এমন একটি ধারণা যা নির্দেশ করে যে, কোনো একটি কাজ বা বিনিয়োগ করার ফলে অন্য কোনো সুযোগ হাতছাড়া হয়। অর্থাৎ, আপনি যখন একটি নির্দিষ্ট কাজ বা বিনিয়োগ করেন, তখন তার সাথে অন্য কোনো লাভজনক সুযোগ ত্যাগ করতে হয়। 

৭. বৈদেশিক বাণিজ্য (International Trade):

বৈদেশিক বাণিজ্য হলো দেশের বাইরে অন্য দেশের সাথে পণ্য ও সেবা আদান-প্রদান করা। এর মাধ্যমে দেশগুলো নিজেদের মধ্যে পারস্পরিক লাভবান হয়।

মৌলিক বাণিজ্য তত্ত্ব অনুযায়ী, কোনো দেশ তখনই লাভবান হয় যখন তা এমন পণ্য উৎপাদন করে যা তারা দক্ষতার সঙ্গে তৈরি করতে পারে এবং অন্য দেশগুলোর সাথে বাণিজ্য করে অন্যান্য পণ্য আমদানি করে।


৮. বেকারত্ব (Unemployment):

বেকারত্ব সেই অবস্থা যেখানে একজন সক্ষম ও ইচ্ছুক ব্যক্তি কাজ পাচ্ছে না। এটি একটি দেশের অর্থনীতির স্বাস্থ্য পরিমাপের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।

বেকারত্বের হার বাড়লে অর্থনীতিতে সমস্যার সংকেত দেয়, যেমন মন্দা।


৯. মুদ্রাস্ফীতি (Inflation):

মুদ্রাস্ফীতি হলো সামগ্রিকভাবে পণ্যের দাম বৃদ্ধি, যার ফলে মুদ্রার ক্রয়ক্ষমতা কমে যায়। অর্থনীতিতে স্বাভাবিক মুদ্রাস্ফীতি সামান্য হলেও স্বাস্থ্যকর, তবে অত্যধিক মুদ্রাস্ফীতি একটি অর্থনীতির জন্য ক্ষতিকারক হতে পারে।

১০. রাজস্ব নীতি (Fiscal Policy):

রাজস্ব নীতি হলো সরকারের কর, ব্যয়, এবং ঋণ ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে অর্থনৈতিক কার্যকলাপ নিয়ন্ত্রণের একটি পদ্ধতি। এর মাধ্যমে সরকার অর্থনীতিতে কর্মসংস্থান, মুদ্রাস্ফীতি, এবং সামগ্রিক প্রবৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণ করে।

১১. মুদ্রানীতি (Monetary Policy):

এটি কেন্দ্রীয় ব্যাংক বা সরকারের মুদ্রা সরবরাহ নিয়ন্ত্রণের নীতি। মুদ্রানীতি মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ, বেকারত্ব হ্রাস, এবং অর্থনীতির স্থিতিশীলতা বজায় রাখার উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা হয়।

১২. মার্জিনাল বিশ্লেষণ (Marginal Analysis):

এটি অর্থনীতির একটি গুরুত্বপূর্ণ ধারণা, যা বলে যে সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় প্রতিটি অতিরিক্ত কাজের বা উৎপাদনের মূল্যায়ন করা প্রয়োজন। উদাহরণস্বরূপ, একজন উৎপাদনকারীকে প্রতিটি অতিরিক্ত পণ্য উৎপাদন করার সময় তার খরচ ও লাভ বিবেচনা করতে হয়।

এই গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক ধারণাগুলো অর্থনীতির কার্যকলাপ, বাজারের গতি প্রকৃতি, এবং নীতিনির্ধারণে সহায়ক হয়।
















Post a Comment

0 Comments