চাহিদা ও যোগান

 চাহিদা ও যোগান 

চাহিদা (Demand):

চাহিদা হলো ভোক্তাদের কোন পণ্য বা সেবা নির্দিষ্ট মূল্যে ক্রয় করার ইচ্ছা ও ক্ষমতা। অর্থাৎ, একটি পণ্যের জন্য একজন ভোক্তা কত পরিমাণ ক্রয় করতে চান এবং তা কিনতে সক্ষম, সেটাই চাহিদা।


চাহিদার বৈশিষ্ট্য:

1. মূল্যের সঙ্গে সম্পর্ক: সাধারণত পণ্যের মূল্য কমলে চাহিদা বাড়ে এবং মূল্য বাড়লে চাহিদা কমে। এটি চাহিদার আইনের (Law of Demand) মূল ধারণা।

2. অন্যান্য প্রভাবক: ভোক্তার আয়, পণ্যের পরিবর্তে অন্য পণ্যের মূল্য, ভোক্তার রুচি, ফ্যাশন এবং বিজ্ঞাপনের প্রভাবও চাহিদার পরিমাণ নির্ধারণ করে।

3. চাহিদা রেখা (Demand Curve): চাহিদা রেখা সাধারণত বাম থেকে ডানদিকে নিচের দিকে ঝোঁকে, যা মূল্য ও চাহিদার উল্টো সম্পর্ককে বোঝায়।


যোগান (Supply):

যোগান হলো কোন পণ্য বা সেবা বাজারে বিক্রেতারা নির্দিষ্ট মূল্যে কতটা পরিমাণ বিক্রির জন্য প্রস্তুত থাকে। অর্থাৎ, কোন পণ্য বা সেবার যে পরিমাণ সরবরাহ করা সম্ভব সেটাই যোগান।


যোগানের বৈশিষ্ট্য:

1. মূল্যের সঙ্গে সম্পর্ক: সাধারণত পণ্যের মূল্য বাড়লে যোগান বাড়ে এবং মূল্য কমলে যোগান কমে। এটি যোগানের আইনের (Law of Supply) মূল ধারণা।

2. অন্যান্য প্রভাবক: উৎপাদন খরচ, প্রযুক্তির উন্নতি, উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা, এবং পরিবেশগত বা প্রাকৃতিক কারণও যোগানের পরিমাণ প্রভাবিত করে।

3. যোগান রেখা (Supply Curve): যোগান রেখা সাধারণত বাম থেকে ডানদিকে উপরের দিকে উঠে যায়, যা মূল্য ও যোগানের সরাসরি সম্পর্ককে বোঝায়।


চাহিদা ও যোগানের সম্পর্ক:

বাজারে চাহিদা ও যোগান একে অপরের সাথে সম্পর্কিত এবং এদের ভিত্তিতে পণ্যের মূল্য এবং বাজারের ভারসাম্য নির্ধারিত হয়।





চাহিদা ও যোগান রেখার সাহায্যে বাজার ভারসাম্য ব্যাখ্যা কর


বাজার ভারসাম্য (Market Equilibrium) হলো একটি অবস্থান যেখানে একটি নির্দিষ্ট পণ্যের জন্য ক্রেতাদের চাহিদা এবং বিক্রেতাদের যোগান সমান হয়। এই ভারসাম্যের অবস্থানে, বাজারে চাহিদাকৃত পরিমাণ এবং যোগানকৃত পরিমাণ একই হয়, ফলে পণ্যের মূল্য স্থির থাকে এবং কোনও অতিরিক্ত চাহিদা বা অতিরিক্ত যোগান থাকে না।


চাহিদা ও যোগানের ধারনা

1. চাহিদা (Demand): চাহিদা হলো ক্রেতারা একটি নির্দিষ্ট পণ্য বা সেবা নির্দিষ্ট মূল্যে কতটা কিনতে ইচ্ছুক সেই পরিমাণ।

সাধারণত, মূল্যের সঙ্গে চাহিদার উল্টো সম্পর্ক থাকে। অর্থাৎ, পণ্যের মূল্য কমলে চাহিদা বাড়ে এবং মূল্য বাড়লে চাহিদা কমে।

   

2. যোগান (Supply): যোগান হলো বিক্রেতারা একটি নির্দিষ্ট মূল্যে কতটা পণ্য বাজারে সরবরাহ করতে ইচ্ছুক।

সাধারণত, পণ্যের মূল্য বাড়লে যোগান বাড়ে এবং মূল্য কমলে যোগান কমে।

বাজার ভারসাম্য ব্যাখ্যা

একটি বাজারে চাহিদা এবং যোগান রেখা (Demand Curve এবং Supply Curve) তৈরি করে আমরা ভারসাম্য (Equilibrium) বিন্দু খুঁজে পেতে পারি। 


1. চাহিদা রেখা (Demand Curve):

   চাহিদা রেখা সাধারণত বাঁকা হয় এবং বাম থেকে ডানদিকে নিচের দিকে নামতে থাকে। এটি বোঝায় যে মূল্য কমলে চাহিদা বৃদ্ধি পায়।

   

2. যোগান রেখা (Supply Curve):

   যোগান রেখা সাধারণত বাঁকা হয় এবং বাম থেকে ডানদিকে উপরের দিকে উঠে যায়। এটি বোঝায় যে মূল্য বাড়লে যোগান বৃদ্ধি পায়।


3. ভারসাম্য বিন্দু (Equilibrium Point):

   যখন চাহিদা রেখা এবং যোগান রেখা একে অপরকে অতিক্রম করে, সেই বিন্দুকে বাজারের ভারসাম্য বিন্দু বলে। এই বিন্দুতে পণ্যের মূল্য এবং পরিমাণ উভয়ই স্থিতিশীল থাকে।

   


ভারসাম্য মূল্য (Equilibrium Price): এই বিন্দুতে পণ্যের মূল্য যেখানে চাহিদা এবং যোগান সমান হয়।

ভারসাম্য পরিমাণ (Equilibrium Quantity): এই বিন্দুতে পণ্যের পরিমাণ যেখানে বাজারের চাহিদা এবং যোগান সমান থাকে।


 বাজার ভারসাম্যের পরিবর্তন

বিভিন্ন কারণে বাজারের ভারসাম্য পরিবর্তিত হতে পারে। যেমন:

চাহিদার পরিবর্তন: ভোক্তাদের রুচি, আয়, এবং অন্যান্য কারণের পরিবর্তনে চাহিদা বাড়তে বা কমতে পারে, যা বাজারের ভারসাম্যকে প্রভাবিত করে।

যোগানের পরিবর্তন: উৎপাদন খরচ, প্রযুক্তি, এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগের মতো কারণে যোগান বাড়তে বা কমতে পারে। 

যখন চাহিদা বা যোগান রেখার কোনটি স্থানান্তরিত হয়, তখন নতুন একটি ভারসাম্য বিন্দু তৈরি হয় এবং বাজারে নতুন মূল্য ও পরিমাণ নির্ধারিত হয়।







Post a Comment

0 Comments