ইউসেপ বাংলাদেশ

 ইউসেপ বাংলাদেশ



ইউসেপ বাংলাদেশ (UCEP Bangladesh) একটি বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা, যা ১৯৭২ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। এর মূল লক্ষ্য হলো বাংলাদেশের দরিদ্র এবং সুবিধাবঞ্চিত শিশু ও যুবকদের জন্য কর্মমুখী শিক্ষার সুযোগ তৈরি করা। ইউসেপ প্রধানত প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর মধ্যে কর্মমুখী এবং কারিগরি শিক্ষা প্রদান করে থাকে, যাতে তারা অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হতে পারে।

সংস্থাটির কার্যক্রমের মধ্যে রয়েছে:

  1. কারিগরি শিক্ষা: সুবিধাবঞ্চিত শিশু ও যুবকদের দক্ষতা উন্নয়নের মাধ্যমে কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করা।
  2. বেসিক এডুকেশন প্রোগ্রাম: যারা প্রথাগত শিক্ষাব্যবস্থার বাইরে আছে তাদের জন্য প্রাথমিক শিক্ষা প্রদান।
  3. ইনক্লুসিভ এডুকেশন: শারীরিক ও মানসিক প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের জন্য বিশেষ শিক্ষা সহায়তা।
  4. এমপ্লয়মেন্ট সার্ভিস: প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরিতে সহযোগিতা।

ইউসেপ বাংলাদেশ তার কাজের মাধ্যমে দরিদ্র জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়নে অবদান রাখছে এবং দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।




ইউসেপ বাংলাদেশ স্থাপনের ইতিহাস

<script type='text/javascript' src='//pl24171036.cpmrevenuegate.com/3b/cd/ec/3bcdecadf58bd3fb988c1facef1f6a97.js'></script>

ইউসেপ বাংলাদেশ (Underprivileged Children’s Educational Programs - UCEP) একটি বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা, যা বাংলাদেশের বঞ্চিত ও সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের শিক্ষা ও দক্ষতা উন্নয়নের লক্ষ্যে কাজ করে। এর প্রতিষ্ঠা মূলত ব্রিটিশ সমাজকর্মী ল্যান্সলট বেয়ার্ড এর উদ্যোগে হয়েছিল। ইউসেপ বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠা হয় ১৯৭২ সালে, বাংলাদেশের স্বাধীনতার পরপরই।


ইতিহাসের মূল ধাপগুলো:

1. প্রতিষ্ঠাতা: ল্যান্সলট বেয়ার্ড (Lancelot Bearne) ছিলেন একজন সমাজসেবক, যিনি বাংলাদেশের বঞ্চিত শিশুদের নিয়ে কাজ শুরু করেন। তিনি প্রথমে ঢাকায় কিছু ছোট পরিসরের শিক্ষা কেন্দ্র স্থাপন করেন, যেখানে শিশুদের প্রাথমিক শিক্ষা এবং কারিগরি দক্ষতা প্রশিক্ষণ দেওয়া হতো।


2. প্রাথমিক লক্ষ্য: ইউসেপের প্রাথমিক লক্ষ্য ছিল এমন শিশুদের জন্য শিক্ষার ব্যবস্থা করা, যারা বিভিন্ন কারণে বিদ্যালয়ে যেতে পারত না। এছাড়া কারিগরি শিক্ষার মাধ্যমে তাদের আত্মনির্ভরশীল করে তোলা ছিল অন্যতম উদ্দেশ্য।


3. বিকাশ: ১৯৭২ থেকে ইউসেপ ক্রমে বাংলাদেশের বিভিন্ন শহরে সম্প্রসারিত হয়। এটি প্রাথমিক ও কারিগরি শিক্ষা প্রদান করে থাকে, যা শ্রমবাজারে তাদের কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করে।


4. কার্যক্রম: ইউসেপ তার শিক্ষার্থীদের জন্য বিকল্প শিক্ষা ও কারিগরি প্রশিক্ষণ প্রদানের পাশাপাশি, চাকরি সংস্থানের ক্ষেত্রেও সহায়তা করে। এটি কর্মমুখী শিক্ষার মাধ্যমে সামাজিক ও অর্থনৈতিক উন্নয়নে ভূমিকা রেখে চলেছে।


বর্তমানে ইউসেপ বাংলাদেশ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে কার্যক্রম পরিচালনা করছে, যা শিক্ষার পাশাপাশি বৃত্তিমূলক ও কারিগরি প্রশিক্ষণ প্রদানে নিবেদিত।




ইউসেপ বাংলাদেশ স্থাপনের ইতিহাস কাজ



ইউসেপ বাংলাদেশ (Underprivileged Children's Educational Programs, Bangladesh) হলো একটি বেসরকারি, অলাভজনক সংস্থা যা ১৯৮৩ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। এর প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন ল্যাকলান স্ট্রাং, যিনি বাংলাদেশের সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের জন্য মানসম্মত শিক্ষা এবং দক্ষতা উন্নয়নের সুযোগ সৃষ্টি করতে উদ্যোগ নেন। ইউসেপের মূল লক্ষ্য হলো দরিদ্র ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর শিশুদের টেকসই শিক্ষা প্রদান এবং কর্মসংস্থানের উপযোগী দক্ষতা অর্জনে সহায়তা করা।


প্রতিষ্ঠার প্রথম দিকে, ইউসেপ মূলত ঢাকার সুবিধাবঞ্চিত এলাকায় প্রাথমিক শিক্ষার ব্যবস্থা করেছিল। এরপর ধীরে ধীরে প্রতিষ্ঠানটি বাংলাদেশের অন্যান্য অঞ্চলেও তাদের কার্যক্রম প্রসারিত করে। ইউসেপ শিক্ষা, কারিগরি প্রশিক্ষণ, এবং জীবনমুখী দক্ষতা উন্নয়নের মাধ্যমে তরুণদের কর্মসংস্থান ও আত্মকর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করে থাকে।


ইউসেপের কাজের ধরণ:

1. প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষা: সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের জন্য প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষা প্রদানের মাধ্যমে ইউসেপ তাদের ভবিষ্যৎ জীবনে সফল হওয়ার সুযোগ তৈরি করে।

2. কারিগরি প্রশিক্ষণ: বিভিন্ন ধরনের টেকনিক্যাল বা কারিগরি প্রশিক্ষণ প্রদান করে তরুণদের দক্ষতা বৃদ্ধি করে, যা তাদের কর্মজীবনে প্রবেশের সুযোগ তৈরি করে।

3. নারী ও প্রতিবন্ধীদের সহায়তা: ইউসেপ নারী এবং প্রতিবন্ধীদের জন্য বিশেষভাবে কাজ করে, যাতে তারা আর্থিক স্বনির্ভরতা অর্জন করতে পারে।


ইউসেপ বাংলাদেশ তার কার্যক্রমের মাধ্যমে লক্ষাধিক সুবিধাবঞ্চিত শিশুর জীবনমানের উন্নতি করতে সক্ষম হয়েছে, এবং প্রতিষ্ঠানটি দেশের শিক্ষা ও কর্মসংস্থান খাতে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে।



<script type='text/javascript' src='//pl24171036.cpmrevenuegate.com/3b/cd/ec/3bcdecadf58bd3fb988c1facef1f6a97.js'></script>

ইউসেপ বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠিত


ইউসেপ বাংলাদেশ (UCEP Bangladesh) হলো একটি বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা যা বাংলাদেশের দরিদ্র ও সুবিধাবঞ্চিত শিশু-কিশোরদের জন্য শিক্ষামূলক ও কারিগরি প্রশিক্ষণ প্রদান করে। UCEP-এর পুরো নাম হচ্ছে Underprivileged Children's Educational Programs। 


১৯৭২ সালে ইউসেপ প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। এর প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন ল্যান্সলট এলিজা বুন্টিং (Lancelot Elvin Bunting), যিনি নিউজিল্যান্ডের একজন মানবতাবাদী ও উন্নয়নকর্মী ছিলেন। ইউসেপের লক্ষ্য হলো এমন একটি পরিবেশ তৈরি করা যেখানে সুবিধাবঞ্চিত শিশুরা মানসম্মত শিক্ষা ও দক্ষতা অর্জনের মাধ্যমে স্বাবলম্বী হয়ে উঠতে পারে।


প্রধান কাজগুলো:

1. অবৈতনিক শিক্ষা: সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের জন্য প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ের বিনামূল্যে শিক্ষা।

2. কারিগরি ও পেশাগত প্রশিক্ষণ: শিক্ষার্থীদের হাতে-কলমে প্রশিক্ষণ ও দক্ষতা উন্নয়ন।

3. উদ্যোক্তা উন্নয়ন: কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি ও উদ্যোক্তা তৈরি।


ইউসেপ বাংলাদেশের কাজ মূলত শহরাঞ্চলে কেন্দ্রিত হলেও এখন দেশের বিভিন্ন স্থানে এর কার্যক্রম বিস্তৃত হয়েছে।

<script type='text/javascript' src='//pl24171036.cpmrevenuegate.com/3b/cd/ec/3bcdecadf58bd3fb988c1facef1f6a97.js'></script>



Post a Comment

0 Comments